মালদা

অল্পের জন্য প্রানে বাঁচলেন ইংরেজবাজার পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার্স কনসাল্টেটিভ কমিটির অন্যতম সদস্য নরেন্দ্রনাথ (নন্দু) তিওয়ারি

নেশাগ্রস্থ একদল যুবকের আক্রমণের হাত থেকে অল্পের জন্য প্রানে বাঁচলেন ইংরেজবাজার পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার্স কনসাল্টেটিভ কমিটির অন্যতম সদস্য নরেন্দ্রনাথ (নন্দু) তিওয়ারি। আরপিএফ (রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স)-এর জওয়ানরা ছুটে এসে উদ্ধার করেন তাকে। সোমবার বিকেলে মালদা টাউন স্টেশনের ইয়ার্ডের ডিসেল রিফিলিং ইউনিটের কাছে এই ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার মালদা জিআরপি’র কাছে এই বিষয়ে লিখিত আভিযোগ দায়ের করেছেন। নন্দুবাবুর ওপরে মাদকাসক্ত সমাজবিরোধীদের আক্রমণের চেষ্টার তীব্র নিন্দা করে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী ও সাংসদ মৌসম নূর।

            মঙ্গলবার নন্দুবাবু জানান, দীর্ঘদিন থেকে আমি অভিযোগ পাচ্ছিলাম মালদা স্টেশনের ইয়ার্ডের কাছে ডিজেল ইঞ্জিন রিফিলিংয়ের জন্য যে পাম্প আছে সেখানে ঘাঁটি গেড়েছে একদল মাদকাসক্ত যুবক। এই জায়গাটি রেলের সুরক্ষার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মদ, গাঁজা ছাড়াও ওই যুবকরা সেখানে ড্রাগের নেশাও করে। অবাধে জুয়া খেলাও চলে। জুয়ার টাকায় টান পড়লে এরা যাত্রীদের কাছ থেকে টাকাপয়সাও ছিনতাই করে। সেই অভিযোগ পেয়েই আমি নিজে সোমবার বিকেলে রেলের ইয়ার্ডে হাজির হই। সেখানে তখন কুলদীপ মিশ্র কলোনি’র প্রদীপ রাম, উত্তম চৌধুরির নেতৃত্বে আট থেকে দশজন যুবক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় জুয়া খেলছিল। আমাকে সেখানে দেখে প্রথমে তারা হকচকিয়ে যায়। তারপরেই হাতের কাছে রাখা কয়েকটি ধারালো অস্ত্র এবং লাঠি নিয়ে আমাকে তাড়া করে। আমার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন আরপিএফ জওয়ানরা। এগিয়ে আসেন স্থানীয় কয়েকজন যুবকও। তাদের দেখে পালাতে থাকেন ওই ড্রাগের নেশায় আচ্ছন্ন সমাজবিরোধীরা।

এদিন দুপুরে রেল সুরক্ষা বাহিনী এবং জিআরপি’র কাছে লিখিত অভিযোগ জানান নন্দুবাবু। বিষয়টি নিয়ে তিনি আলাদা ভাবে জেলা পুলিশ কর্তাদের কাছেও জানাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

            নন্দু তিওয়ারিকে আক্রমণের চেষ্টা নিয়ে মৌসম নূর বলেন, উনি শুধু জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক বা ইংরেজবাজার পুরসভার বিরোধী দলনেতাই নন পাশাপাশি উনি রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার্স কনসাল্টেটিভ কমিটির অন্যতম সদস্যও। তাকেই যদি এভাবে আক্রমণের চেষ্টা হয় তাহলে সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তার হাল সহজেই অনুমেয়। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দাবী করে তারা যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছে। এই তার নমুনা।

দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার না করা হলে জেলা কংগ্রেস আন্দোলনে নামবে। প্রয়োজনে ডিআরএম অফিস ঘেরাও করা হবে।

মালদা রেল পুলিশ জানিয়েছে, নন্দুবাবুর অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের গ্রেপ্তার করার সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে ইংরেজবাজার থানার সাহায্যও নেওয়া হবে বলে এমনটা জানা গেছে।